মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি, ভাইবাতে সম্ভাব্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন যা আপনার জেনে রাখা উচিত

 

মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি, ভাইবাতে সম্ভাব্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন যা আপনার জেনে রাখা উচিত ভাইভা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞেস করা হয় নিচের  প্রশ্নঃ ও উত্তর  (সরকারি চাকরি /বেসরকারি চাকরিতে) ভাইভা বোর্ডে যাঁরা থাকেন, তাঁরা কিন্তু নানাভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেই আপনাকে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেবেন। একজন চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি তাঁর স্মার্টনেস, উপস্থাপন কৌশল, বাচনভঙ্গি এসব বিষয়ও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

ভাইভা বোর্ডে ঢুকেই অনেকে নিজের অজান্তে প্রথমেই নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করেন বসেন। নিয়োগদাতারা তেমন কোনো প্রশ্ন না করেই বা সৌজন্যতার খাতিরে দু-একটি প্রশ্ন করেই বিদায় করে দেন।

প্রিয় বন্ধুরা, আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আমাদের অনেকের শিক্ষাগত জীবনে ভালো ফলাফল থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় । ভাইবা বোর্ডে নিজের যোগ্যতা উপস্থাপন করতে পারি না। আবার অনেকেই রেজাল্ট খারাপ থাকা সত্ত্বেও যদি ভাইবা পরীক্ষা দেবার চান্স পায় তাহলে ভাইবা বোর্ডে ভালো করার ফলে চাকুরী হয়ে যায়।

এই লেখাতে আমি চেষ্টা করবো কিছু ভাইবা টিপস দিতে যে কিভাবে ভাইবাতে খুব ভালো করতে পারবেন এবং ভাইবা টিপস, কিছু কমন সম্ভাব্য প্রশ্ন সম্বন্ধে আলোচনা হবে।

ভাইবা বোর্ডে প্রবেশ করার পূর্বে কিছু পূর্ব প্রস্তুতি এবং দিক নির্দেশনা(ভাইবা টিপস)

শুরুতেই বলে রাখি, লেখাটি সকল মানুষদের জন্য প্রযোজ্য, আশা করছি যারা চাকুরী ভাইবাতে নিজেকে প্রস্তুত করতে চাই তারা এই লেখাটির মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন।

একটি প্রতিষ্ঠান অবশ্যই চাইবে দক্ষ লোক নিয়োগ করতে। তারা বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আপনাকে তাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেবে। একজন চাকুরীপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্মার্টনেস, বাচনভঙ্গি, উপস্থাপন কৌশল ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এ রকম পরিস্থিতি এড়াতে ও নিজেকে যোগ্যজন্য কিছু কৌশল আছে যা আমরা পরবর্তী পোস্টে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করব ; এখন আসি সরকারি এবং বেসরকারি চাকুরীর ভাইভা তে সাধারণত ফ্রেশার এবং চাকুরীর পূর্ব অভিজ্ঞদের যেসকল প্রশ্ন করা হয় সে প্রসঙ্গেঃ

অনেক সময় আমরা ভাইবা কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথে নিজের অজান্তেই নিজেদের অযোগ্য করে তুলি। ফলে নিয়োগদাতারা সৌজন্যমূলক প্রশ্নকরেই বিদায় করে দেন। এ পরিস্থিতি এড়াতে এখন কিছু কৌশল শেয়ার করবো।

ভাইবা টিপসঃ

আপনার সিভি/বায়োডাটা বা জীবনবৃত্তান্ত তৈরির সময় অবশ্যই আপনাকে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন সেই পদটি সম্পর্কে বায়োডাটাতে ফোকাস করতে হবে। জীবনবৃত্তান্ত সাথে প্রয়োজনে একটি ফরোয়ার্ডিং লেটারও দিতে হবে।

নোটঃ অনেকসময় জীবনবৃত্তান্ত চাকুরীপ্রার্থী নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার জন্য ভুল তথ্য পেশ করে থাকেন যা মোটেও উচিত নয় কারন পরবর্তীতে বিষয়টি জানা জানি হলে লজ্জাকর অবস্থায় পড়তে হতে পারে এমনকি চাকুরী চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

জীবনবৃত্তান্ত ও ফরোয়ার্ডিং লেটারে কখনোই বানান ভুল হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে কয়েকবার পরীক্ষা করুন।

নোটঃ তবে ব্যাগ বা ব্রিফকেস কিংবা বায়োডাটার ব্যাগ টেবিলের উপর না রেখে পাশে কোথাও রাখা উচিত নিজের ভিতর ক্লান্তিভাব পরিহার করুন। নির্দিষ্ট সময়ের আগ মুহূর্তে না এসে বরং আগেই উপস্থিত থাকুন এবং আধাঘণ্টা আগে উপস্থিত হয়ে নিজেকে প্রানবন্ত করে তুলুন।

নোটঃ ভাইবার আগে রাতে কোনভাবেই রাত জাগা ঠিক নয়। রাত জাগলে নিজের ভিতর ক্লান্তিভাব চলে আসবে এবং অনেক ক্ষেত্রে আপনি জানা বিষয়গুলো এলেমেলো করে ফেলতে পারেন।

নোটঃ ভাইবা বোর্ডে সময়মত না আসতে পারাটাই আপনার অযোগ্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।

সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবেন। কথা বলার সময় যেন হাত পা না নড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। যখন যে ইন্টারভিউয়ার আপনাকে প্রশ্ন করবে তখন তার দিকে তাকিয়ে উত্তর দেবার চেষ্টা করবেন।

নোটঃ অনেকেই ভাইবা বোর্ডে প্রধানের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন, এটা একদম ঠিক নয়। খেয়াল রাখবেন যে ইন্টারভিউয়ার আপনাকে প্রশ্ন করেছে তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

নোটঃ বাংলা বা ইংরেজি যায় হোক না কেন, উচ্চারণ সঠিক রাখতে চেষ্টা করবেন। উচ্চারণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে।

নোটঃ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কার্যপদ্ধতি অনুসারে নিজের দক্ষ, এবং কনফিডেন্সকে উপস্থাপন করা যেতে পারে যা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে।

ভাইবা টিপস সম্বন্ধে আমরা জানলাম। এবার আমরা জানবো ভাইবা বোর্ডে কিছু কমন প্রশ্ন সম্বন্ধে।

মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি, ভাইবাতে সম্ভাব্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন যা আপনার জেনে রাখা উচিত

 

ভাইবা বোর্ডে যে প্রশ্নগুলোপ্রায় ই করা হয়-